সংগঠন পরিচিতি

IYF তৈরীর প্রেক্ষাপট

মুসলিম যুবকদের ভুলে যাওয়া পয়গামকে স্মরণ করাতে এবং তাদের জীবনের আসল লক্ষ্যের সাথে সম্পৃক্ত করতে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন কার্যরত ছিল। সেই সংগঠনগুলোর পারস্পরিক বন্ধন মজবুত করতে  ২০০৯ সালের ১১ই জানুয়ারী ফেডারেশন অফ ইসলামিক ইয়ুথ অরগানাইজেশন (FIYO) যৌথ প্লাটফর্ম হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ধীরে ধীরে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এই যৌথ প্লাটফর্মের সদস্যপদ গ্রহণ করে। FIYO এবং তার সদস্য সংগঠনগুলো ছাত্রযুবদের মাঝে কল্যাণকামীতা ও দক্ষতার উন্নয়ন করতে, তাদের চিন্তাভাবনার ইসলামীকরণের সাথে সাথে ইসলামী নবজাগরণের উদ্দেশ্যে কুরবানী দেওয়ার জযবা পয়দা করতে বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামের ব্যবস্থা করা হয়। মুসলিম উম্মাহর মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি করতে বিভিন্ন বিষয়ে সেমিনার, কনফারেন্স, প্রচার অভিযান ও অন্যান্য প্রোগ্রামের মাধ্যমে পয়গাম ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়।

২০১৮ সালের শেষের দিকে FIYO এবং এর সাথে কর্মরত বিভিন্ন রাজ্যের ১০টি ছাত্র সংগঠন নিজেদের কাজকে আরও সুদৃঢ় ও উত্তম পন্থায় করতে এবং লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে একটি জাতীয় সংগঠনের অধীনে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৯ সালের ৩১শে মার্চ সমস্ত সদস্য সংগঠন একটি জাতীয় সংগঠনে পরিণত হয় । এই সংগঠনের নাম রাখা হয় ইসলামিক ইয়ুথ ফেডারেশন (IYF ), যার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় –

‘ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক  জীবনে ইসলাম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।’

লক্ষ্য ও কর্মসূচী

  • নেককার, নৈতিকতা পরায়ণ, দক্ষ, সাহসী, জানবায ও সদাজাগ্রত ছাত্র-যুবদের দল তৈরী করা।
  • ছাত্র-যুবদের IYF এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের দিকে আহ্বান জানানো এবং এর উদ্দেশ্য অর্জনের চেষ্টা প্রচেষ্টা করা।
  • ছাত্র-যুবদের কুরআন ও সুন্নাতের জ্ঞান অর্জনের প্রতি অনুপ্রাণিত ও ব্যবস্থা করা।
  • ছাত্র-যুবদের সংগঠিত করা এবং তাদের জীবন ও চরিত্রকে ইসলামী ধাঁচে গড়ে তোলা।
  • ছাত্র-যুবদের মতাদর্শিক ও শারীরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া।
  • ছাত্র-যুবদের চারিত্রিক বিকৃতি, যৌনতা ও মানসিক দাসত্ব থেকে মুক্তি দেওয়া।
  • ছাত্র-যুবদের দেশ ও মিল্লাতের পরিস্থিতি সম্পর্কে জ্ঞাত করা।
  • ছাত্র-যুবদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী ও ক্ষমতার বিকাশ ঘটানো।
  • কলেজ, ক্যাম্পাস ও সামাজিক পরিবেশকে পবিত্র করা।
  • জাহেলী শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জাগরণ সৃষ্টি করা এবং এর কুপ্রভাব থেকে ছাত্র-যুবদের বাঁচানোর চেষ্টা করা।
  • ছাত্রদের অধিকার আদায়ের চেষ্টা করা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে ছাত্রদের গাইড করা।
  • ছাত্র-যুবদের জন্য লাইব্রেরী, স্টাডি সার্কেল, সেমিনার,  সিম্পোজিয়াম, কনফারেন্স ইত্যাদির ব্যবস্থা করা।
  • ছাত্র-যুবদের মাঝে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা।
  • খিদমাতে খালকের কার্যকরী ব্যবস্থা করা এবং দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রদের সাধ্যমত সহযোগিতা করা।
  • অমুসলিম ছাত্র-যুবদের মাঝে ইসলামের দাওয়াত পেশ করা।
  • সাধ্যমত দেশ ও মিল্লাতের সমস্যার সমাধান করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *